স্বাস্থ্য কথায়, সজিনা পাতার উপকারিতা
প্রাচীন আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে সোভাঞ্জন বা সজিনা পাতার উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে সজিনা পাতার নানান উপকারিতার বর্ণনা পাওয়া যায়। অথর্ববেদে বলা হয়েছে যে এই সজিনা দেহ শত্রুর বিনাস সাধন করষ। অর্থাৎ দেহ শত্রু হলো অর্শ এবং কৃমির রোগ।
বৈদিক ও চরক সংহিতাতেই এই গাছটির উপকারিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তবে দেখা যাক সজনের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার
১) সজনে পাতা শাকের মতো রান্না করে আহারের সময় অল্প পরিমাণ খেলে অগ্নি বল বৃদ্ধি হয় এবং আহারে প্রবৃত্তি আসে। তবে পেট রোগাদের ঝোল করে অল্প খাওয়া ভালো।
.২) সজনে গাছের ফুল শাকের মতো রান্না করে বসন্তকালে খাওয়া খুবই ভাল।এটা বসন্ত রোগের প্রতিষেধক দ্রব্য। তবে ইউনানী চিকিৎসক সম্প্রদায় ফুল শুকিয়ে ব্যবহার করেন, সর্দি-কাশির দোষে, প্লীহা ও যকৃতের রোগের চিকিৎসায়।
৩) সজনে ডাঁটা তরকারি অথবা রান্না করে খেলে উপকার হয়। ডাটা দেহের সাময়িক প্রয়োজন মেটায়।
৪) হাই প্রেসার - যাদের হাইপ্রেশার আছে, সজিনা এর পাকা পাতার টাটকা রস দুইবেলা আহারে ঠিক আগে দুই বা তিন চামচ করে খেলে প্রেসার কমে যায়। তবে যাদের প্রস্রাবে বা রক্তে সুগার আছে সে ক্ষেত্রে খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
.৫) ফোড়া হয়েছে, ফাটতে চাইছে না, সে ক্ষেত্রে সজনে পাতা বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফোঁড়া বা টিউমার বহু ক্ষেত্রে মিলিয়ে যায়।।
৬) সাময়িক জ্বর- জ্বরের সঙ্গে সর্দির প্রাবাল্য থাকলে অল্প দুটো পাতা ঝোল করে বা শাক রান্না করে খেলে উপশম হয়।
৭) হিক্কা- রোগ থাকলে পাতার রস দুই থেকে পাঁচফোঁটা করে দুধের সঙ্গে তিন চারবার খেললে কমে যায়।
৮) অশ্ব রোগের যারা কষ্ট পাচ্ছেন, যন্ত্রণা আছে কিন্তু রক্ত পড়ছে না। সে ক্ষেত্রে নিম্নাঙ্গে তিল তৈল লাগিয়ে পাতা সিদ্ধ কাঁথ দ্বারা সিক্ত করতে বলেছেন চড়ক।
৯) দাঁতের মাড়ি ফোলায়, যাদের দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, তাদের পাতার কাথ মুখে ধারণ করলে উপশম হয়।
১০) কুষ্ঠ রোগের প্রথম অবস্থায় এই সজনে বীজের তেল ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়ে যায়।
১১) দাঁত - সজনের মূলের ছালের প্রলেপ দিলে এই রোগের উপশম ঘটে।
এছারাও বহু রোগের ক্ষেত্রে রসুন ব্যাবহার করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ