স্বপ্ন যখন বাস্তব
পাহাড়ের বুকে আজ মেঘের ঘনঘটা। সকাল থেকেই ঘন মেঘে ঢাকা সমগ্র পাহাড়ী অঞ্চলটা। মাঝে একবার রৌদ্র উঠেছিল কিন্তু এখন আবার অন্ধকারে ঢেকে গেছে চারিধার। সকালে আজ ছুটি ছিল আমার। ছুটির দিনগুলো এখানে খুব একটা সময় কাটতে চায় না। তামিলনাড়ুর একেবারে পশ্চিম দিকে একটা শহর। এখান থেকে মাদুরাই খুব একটা দূরে নয়। তবে এই শহরটা চারিদিকে পাহাড় দ্বারা ঘেরা। দূরে চোখ রাখলে শুধু পাহাড় আর পাহাড় ছাড়া দেখা যায় পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত ধূসর সবুজ গাছপালা গুলি। পাহাড় কেটে এখানকার মাঠগুলো তৈরি হয়েছে। পাহাড় কেটে বলতে উঁচু নিচু ঢিপি গুলো কেটে। তাছাড়া এটা একটা উপত্যকা অঞ্চল। আমি একটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হোস্টেলের রয়েছি। সব সময় সব নাম জনসমক্ষে আনা যায় না। সেক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে তাই এই অঞ্চলের অত্যন্ত নামকরা এই স্কুলটার নামটা আমি বলতে চাইছি না। এত বড় স্কুল আমি আমার জীবনে দেখিনি। ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বলতে যা বোঝায় সত্যি করে বলতে গেলে স্কুলটা তাই। পড়াশুনার পাশাপাশি গান বাজনা থেকে শুরু করে নাচ নাটক এবং সমস্ত রকমের খেলাধুলায় সমানভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ফুটবল থেকে শুরু করে ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, দাবা, ক্যারাম এমনকি শুটিং, স্কেটিং সবই রয়েছে। প্রত্যেকটা খেলাধুলায় এদের সমান গুরুত্ব দেই বলে এই স্কুল থেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্যের নজির রয়েছে। যদিও এই স্কুলের সঙ্গে আমার সরাসরি কোন যোগ নেই। স্কুলটির সঙ্গে একটা ফুটবল একাডেমি মেলবন্ধন রয়েছে। ফলে স্কুলের ফুটবলের সমস্ত উন্নয়নের দেখাশোনার দায়িত্ব সেই ফুটবল একাডেমীর। আর্টেজ ইন্ডিয়া এফসি ফুটবল একাডেমিতে রয়েছি আমি। একটা আলাদা ঘরে আমি আছি। একদিন আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম বাংলার বাইরে গিয়েও ফুটবলের কোচিং করাবো তাই আজও সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটেছি এবং সেই স্বপ্নকে কিছুটা হলেও বাস্তবায়িত করতে পেরেছি। এখানে এসে আমার অনেক দিনের একটা ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। আসলে খেলাধুলা করার সময় বা খেলাধুলার সূত্রে যেমন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছি, দেখেছি সেখানকার শিল্প, সংস্কৃতি সেখানকার জনজীবন, জনজীবনের প্রতিদিনের ব্যবহার এবং নগর উন্নয়নের মান। বলতে পারেন এটা আমার ভালো লাগে আর ভালো লাগে বলেই যখন যেখানে ঘুরতে গিয়েছি সে খেলাধুলার জন্য হোক বা যে কোন সূত্রই হোক। সেখানকার মানুষের সঙ্গে মিশে জানতে চেয়েছি সেখানকার নগর জীবনের কথা, গ্রামীণ জীবনের কথা। সে সব কথা আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে আমার জ্ঞান ভান্ডার কে কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ করেছে। জ্ঞানভাণ্ডার বললাম বলে অনেকেই আমাকে হয়ত জ্ঞানী ভাবতে পারে। কিন্তু জ্ঞানের সাগরে আমি এখনো পর্যন্ত নামতে পারিনি। জ্ঞান সমুদ্রে যে বালি পড়ে রয়েছে সেখানে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। শুধুমাত্র জ্ঞান নামক একটা শব্দ শুনেছি এবং সেই জ্ঞান সমুদ্র শব্দের মধ্যে বিচরণ করার চেষ্টা করছি। তাই বলা যেতে পারে আমার জানার পরিমাণকে কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের নানা জায়গার নানা সংস্কৃতি। ভারত বিশাল বড় নানান বৈচিত্র্যের নানান সংস্কৃতির নানান পোশাকের নানান খাদ্যের নানান ভাষার একটা দেশ। সুতরাং বৈচিত্রের মাঝে যে আরো বৈচিত্রতা আছে বৈচিত্রের মাঝে যেমন একতা আছে তেমনি হয়তো বিভেদও আছে। অত গভীরে প্রবেশ করা আমার কর্তব্য বা কাজ নয় আমি শুধু সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক যে জায়গা সেই জায়গাগুলোকে দেখে জানার চেষ্টা করি।
হাজার হাজার বছর আগে একটা সভ্যতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সেখানকার সংস্কৃতি, কৃষ্টি আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে। অথচ আমি এই জগতের লোক নই। শিল্প ও সাহিত্য, ইতিহাস ভালো লাগলেও ওই জ্ঞান জগতে আমি বিচার করি না। আমি সামান্য খেলাধুলা জগতের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে ভালোবাসি যদিও খেলাধুলার ক্ষেত্রেও আমার অগাধ জ্ঞান বা পাণ্ডিত্য আছে তেমন নয়। তবে আমার একটা জিনিস হল আমি চিরদিন শেখার চেষ্টা করেছি, করছি এবং করব।
আমার পরিচয়টা এখনো দেওয়া হয়নি আমার নাম অর্পণ। অর্পণ সরকার। আমার জন্ম ভারতের বাইরে। কিন্তু শৈশব কেটেছে এখানে। আদ্যপ্রান্ত আমি একজন ভারতীয়। মনেপ্রানে আমি একজন ভারতীয়। বাংলা ভাষা আমার প্রাণের ভাষা। বাইরের দেশে কাটলেও আমার মন প্রাণ সবই ভারতের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির সঙ্গে একেবারে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।
খেলাধুলা ছেড়ে দেবার পর বহুবছর শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। না স্কুল শিক্ষক না, বলতে পারেন প্রাইভেট পড়ানোতে ব্যস্ত ছিলাম এবং তার পাশাপাশি মনের মধ্যে একটা সুপ্ত বাসনা ছিল কিভাবে আমার খেলোয়ার জীবনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারি। নতুন খেলোয়ারদের শেখাতে হবে খেলা তাই নেমে পড়েছিলাম খেলোয়ার তৈরির কাজে, কতটা তৈরি করতে পেরেছি কাকে তৈরি করতে পেরেছি সেসব বিষয়ে এখানে বিচার্য নয়, বিচার্য বিষয় হল ফুটবলের প্রতি একটা অনুরাগ সৃষ্টি করে ফুটবলার তৈরি করা এবং সে কাজে আমি যথেষ্ট সফল। বহু খেলোয়াড় আজ নিজেদের রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। কেউ কেউ ভালো জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। আমার সাফল্য এখানে।
ফুটবলার তৈরির নেশায় যখন আমি মশগুল তখন সংসার অবশ্যই ভেসে যাওয়ার মতন। কিন্তু আমি বারবার স্বপ্ন দেখেছি বারবার নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছি আমার স্বপ্নের জগতের মধ্যে দিয়ে। একটা সময় অনেক দুঃখ কষ্ট এবং যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে সহ্য করতে হয়েছে আশেপাশের লোকের অনেক কথা আত্মীয়-স্বজনের গঞ্জনা কারণ ফুটবল কোচিং কখনো পেশা হতে পারে না তাদের কাছে। অনেক আত্মীয় বলেছে কোচিং করানো, বেকার খাটনি। মাথা পেতে নিয়েছি তখন কারণ তাদের সঙ্গে তর্ক করার কোন ইচ্ছা বা মানসিকতা আমার কোন দিনই ছিল না। আমি শুধু আমার ভালো লাগা বিষয়টাকে আঁকড়ে ধরেছি। আমার প্যাশন আঁকড়ে ধরেছি এবং আমার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। হয়তো সেই জন্যই আমি সফল। লাখ লাখ টাকায় আমি সফল নই। কিন্তু আমি আমার কর্তব্যে আমার লক্ষ্যে অবিচল থেকে আজ সফল। এই সফলতা আমাকে মানসিকভাবে দীর্ঘ এক প্রশান্তি এনে দিয়েছে।
এই মুহূর্তে আমি তামিলনাড়ুতে ফুটবলের উন্নয়নের কাজে যুক্ত আছি। অনেকে হয়তো ভাববেন কেন এই তামিলনাড়ুটাকেই বেছে নিলাম। আসলে তামিলনাড়ু আমার কাছে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ। কারণ এখানকার সভ্যতা, এখানকার সংস্কৃতি, এখানকার ভাষা সম্পূর্ণ আমাদের সভ্যতা বা সংস্কৃতি থেকে বিপরীত। সুপ্রাচীন কাল থেকে এই তামিল সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল। আর এই সভ্যতা, এখানকার মানুষ, এখানকার ভাষা দেখার জন্যই মনের মধ্যে একটা শিহরণ তৈরি হয়েছিল। হয়তো সেই টানে সেই আবেগে আমি ছুটে এসেছি এখানে। ফেলে এসেছি আমার পরিবার আমার সন্তানদের।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার স্বপ্ন আরো আরো বড়। যে অর্পণ সরকার একদিন নিদারুন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে তার কাছে এখন এক সুখময় শান্তির জায়গা বিরাজ করছে। ঠিকই বলেছেন আমি অর্পণ সরকার খুব শীঘ্রই আমি ফিরে যাব বাংলায়। সেখানে অপেক্ষা করছে আরও এক নতুন চ্যালেঞ্জ।
আবার বৃষ্টি এলো ঝমঝমিয়ে। পাহাড়ে যখন বৃষ্টি আসে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়। জানলার ধারে দাঁড়িয়ে সেই বৃষ্টি দেখতে আমার প্রচুর ভালো লাগে। কখনো কখনো সেই বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে ফিরে যাই আমার ফেলে আসা শৈশবে। ফেলে আসা বালক কালে অথবা হয়তো ফিরে যাই ফেলে আসা আমার সেই ছোট্টবেলাটা তে। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ফুটবল খেলা। যখনই বৃষ্টি তখনই বন্ধুদের সঙ্গে দলবেঁধে মাঠে নেমে পড়া। অদ্ভুত একটা অনুভূতি ছিল। তখন আনন্দও ছিল। এখন বৃষ্টির মধ্যে ছেলেমেয়েদের বাইরে পাঠাতেই ভয় করে। কি অদ্ভুত একটা জীবন। আমি বলি বৃষ্টিতে ভেজ, আনন্দ কর উপভোগ কর। হয়তো শরীর খারাপ করবে কিন্তু তবুও রোদে জলে নিজেকে কাঁচা সোনা থেকে পাকা সোনার রুপান্তরিত করতে হবে।
এখানকার পরিবেশ বা এখানকার আবহাওয়া মনোরম কিন্তু এখানকার খাদ্য অভ্যাস আমাদের মতন নয়। ফলে প্রথম কয়েকটা দিন অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু ওই যে বললাম আমি আমার স্বপ্নের রূপ দিতে এসেছি। তাই কি খেলাম, কোথায় শুলাম সেটা আমার কাছে বড় কথা নয়। আমার কাছে বড় কথা হলো আমি যে অর্থ নিচ্ছি তার বিনিময়ে আমি কি দিতে পারছি। আমি এখানকার ছেলেদের কিছু শেখাতে পারছি কিনা। সেটা আমার কাছে খুবই একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।
বর্ষাকাল থেকে এসেছে শীতকাল চারিদিকে পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম এবং মায়াবী। আজ ভোরবেলা খুব কুয়াশা পড়েছে। আমি ফিরেছি বাংলায়। তামিলনাড়ু থেকে আরো ভালো একটা কাজের সুযোগ এসেছে আমার বাংলাতে কাজ করার জন্য। তাই এখানকার একটি সরকারি ফুটবল একাডেমিতে কর্মরত রয়েছি আমি। এখানকার পরিবেশ আর তামিলনাড়ুর পরিবেশের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।ন আসলেই এই বাংলার জল মাটিন আর বাতাসে আমি বড় হয়েছি? এই বাংলা আমার ভাষা এই বাংলা আমার প্রাণ আমার হৃদয় তাই এখানে কাজ করতে আলাদা একটা অনুভূতি তৈরি হয়। আলাদা একটা ভালো লাগা থাকে। এখানে ফিরে মন খুলে কাজ করতে পারছি। কাজ করছিও। আজ সকালে প্র্যাকটিসে খুব সকালে উঠে কুয়াশার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করে ফিরে এলাম ঘরে। এবার কিছুক্ষণ ধ্যান করার পর সকালে স্নান খাওয়া শেষ করে পরবর্তী কাজে মনোনিবেশ করব। এখানে কাজ করছি বেশ কয়েক মাস কেটে গেছে। মাঝে মাঝে ফিরে যাই বাড়িতে, বাড়িটা তৈরি হচ্ছে নতুন করে। পুকুরের ধারে দোতলা একটা বাড়ি। সাদামাটা হলেও দোতলার একটা ঘর আর একটা ঝুলন্ত বারান্দা থাকবে পুকুরের দিকে। যাতে মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে ওখানে বসে একটু আরাম করে বিশ্রাম করতে পারি। এ স্বপ্ন আমার অনেকদিনের ছিল? আজ বাবা বেঁচে থাকলে কি যে খুশি হত তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না আমি যেহেতু বড় ছেলে তাই আমার প্রতি অনেক ভালোবাসা ছিল কিন্তু আমি সেই ভালোবাসার প্রতিদান তখন দিতে পারিনি। এ ব্যর্থতা আমার সারা জীবন মনে থাকবে। মায়ের জন্য নিচে তৈরি হয়েছে একটা সুন্দর ঘর। কারণ সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা এই বয়সে তার পক্ষে আর সহজ নয়। মা নিজেই নিজের ঘর বেছে নিয়েছে। ঘর ঠাকুর ঘর সবই আছে। দোতলার আরেকটা দিকে থাকে আমার ভাই। আর কয়েক দিনের মধ্যে বাড়িটাকে রংচং করে সম্পূর্ণরূপে শেষ করতে পারবো।
শীতকাল শেষ এসেছে গরম কাল। আমার স্বপ্নের বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ শেষ। বাইরে থেকে বাড়িটার রং ধূসর সাদা বা বলতে পারেন শঙ্খচিল রঙের। শঙ্খচিল রংটা পুরোপুরি সাদা নয় কিন্তু তার মধ্যে রয়েছে একটা মিষ্টি ভাব এবং কোথাও কোথাও সেই শঙ্খচিল রঙের উপরে একটা লাল বাদামি রঙের বর্ডার। ঘরের ভিতরে সবগুলো ঘর হালক গোলাপি রঙের যাতে আলো সুন্দরভাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে? বড় বড় জালনা রেখেছি। গরমকালে সেই জানালা দিয়ে হাওয়া আসবে আর দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস হু হু করে ঢুকবে ঘরে। আজ বেশ গরম পড়েছে। দুদিনের জন্য বাড়িতে এসেছি। তারপর টিম নিয়ে আমাকে যেতে হবে মহারাষ্ট্রে। সেখানে অল ইন্ডিয়া কম্পিটিশনে আমরা প্রতিনিধিত্ব করবো বাংলা থেকে। এবারে আমাদের দল খুব ভালো খেলছে আশা করি এবার আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে পারবো। দক্ষিণের খোলা ব্যালকনিতে বসে আমার স্বপ্নের জাল দূর থেকে বহু দূরে ছড়িয়ে যেতে থাকে। মনটা অত্যন্ত ভালো হয়ে যায়। গরমকালে দক্ষিণের বাতাস জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। আর আমি এই খোলা ঝুলন্ত বারান্দায় বসে নিজের মনকে শক্ত করছি, প্রস্তুত করছি পরবর্তী আর একটা চ্যালেঞ্জের জন্য। এবার আমি বাংলা কথা ভারতের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। আমি জানি আমি আমার কাজে সফল হয়েছি এবং হবো।
কতক্ষণ দিয়ে ভাবছিলাম ঠিক মনে নেই। হঠাৎ মেয়ে এসে ডাকল খাওয়ার জন্য। ওকে জিজ্ঞাসা করলাম কটা বাজে রে? উত্তর দিল দশটা বেজে গেছে ওদের পড়াশোনা শেষ সুতরাং এবার খাবার পালা। একাডেমিতে থাকলে আমার আটটার মধ্যে খাওয়া শেষ হয়ে যায়। বাড়ি আসলে কখনো কখনো সেসব নিয়ম মানা যায় না। সন্ধ্যেবেলায় আজ লুচি আর আলুর দম করেছিল তাই জন্য রাতে খেতে একটু দেরি হল।
দূরের নীল আকাশ আমার স্বপ্নগুলো কেউ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আর নতুনকে আঁকড়ে ধরতে আহ্বান জানাচ্ছে। আরো বড় একটা স্বপ্নের পিছনে ছুটছি এবার।
0 মন্তব্যসমূহ