বুড়িমা

 বুড়িমা।

অতনু সরকার




শীতের বিকেল তাড়াতাড়ি সন্ধ্যায় নেমে আসে। কমলেশ তাই দ্রুত পা চালাচ্ছিল যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারে। সাধারণত শহরের থেকে গ্রামে সন্ধ্যা নামে তাড়াতাড়ি। ধুধু করা মাঠ আর চারিদিকে বড় বড় গাছপালার পাতায় পাতায় দ্রুত সন্ধ্যা নেমে আসে। তারপর বাড়ির মা-বোন দের শঙ্খের ধ্বনিতে অন্ধকার জানান দেয়। কমলেশ শহর থেকে ফিরছিল। বড় রাস্তার ধারে বাস থেকে নেমে হাঁটা পথ। সেই হাঁটা পথ সোজাসুজি গ্রামের মধ্যে ঢুকেছে।  পথে নানা রকম গাছের সারি দেখে মনে হবে গাছগুলি দুই ধার থেকে ছাতার মতন ঢেকে রয়েছে পথটা। কিছুটা এগোলে একটা বাঁশ বাগান, দু ধারে বাঁশ বাগান গুলো এমন ভাবে একে অপরের উপর পড়ে রয়েছে রাস্তাটা এখানে বেশ অন্ধকার মনে হয়। দিনের বেলাতেও এদিক টাতে খুব একটা লোকে আসতে চায় না। নির্জন এলাকা বলেই হয়তো লোক এই রাস্তাটা এড়িয়ে চলে। কমলেশ দ্রুত হাঁটছিল। হঠাৎ পিছন দিক থেকে একটা বুড়ি ডেকে উঠলো। বলল -ও ঠাকুর মশাই ঠাকুর মশাই।

কমলেশ ঘুরে তাকালো। তারপর দেখল একটা আম গাছের তলায় বসে রয়েছে বুড়িটা। এই বুড়িটিকে কমলেশ অনেকবার দেখেছে তাদের পাড়ার মন্দিরে। পাড়ার এই মন্দিরে ঠাকুর বেশ জাগ্রত বলে সবাই মানে। তাই পাড়ার লোকের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন পাড়া থেকে লোকেরা এসে পুজো দিয়ে যায় এখানে। এই মন্দির পুরোহিতের কাজ করে কমলেশ ভট্টাচার্য। বুড়ির ডাক শুনে থমকে দাঁড়ালো সে। প্রথমে একটু ভয় মতন পেয়েছিল। হঠাৎ এই নির্জনে ঠাকুর মশাই বলে ডাকার ফলে।  হঠাৎ যেন একটু বুকের হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বুড়িটাকে দেখে আবার স্বাভাবিক হলো সে। কমলেশ দাঁড়াল। তারপর বলল - কি হয়েছে বল।

বুড়িটা বলল -আজ আর মন্দিরের দরজা খোলো নেই কেনো? অনেকক্ষণ ধরে বসে ছিলাম।

কমলেশ একটু বিরক্ত হয়ে বলল -  অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকতে তোমায় কে বলেছে। মন্দির যখন বন্ধ তখন ফিরে গেলেই পারতে। তোমার জন্য তো আর আমি সারাদিন মন্দির খুলে বসে থাকতে পারিনা।

বুড়ি উত্তর দিল -তা তুমি ঠিক বলেছো বাবা। আমার জন্য কেন বসে থাকবা। আসলে হয়েছে কি রাস্তায় একটা টাকার নোট পেতেছি। তাই ভাবলাম মন্দিরে দান করে আসি। টাকা যখন আমার না, আমি নিয়ে করব টা কি? 

কমলেশ তাড়াতাড়ি বুড়ির কাছে এসে বলে - তা আমার হাতে দিলেই তো পারো? মন্দিরে দেওয়া ও যা আমার হাতে দেওয়াও তাই।

বুড়ি বলল - ওই জন্যই তো পথের ধারে বসে আছি। তোমার সাথে দেখা করার জন্য। এত টাকা  আমি নিয়ে করব টা কি? 

কমলেশ বলে - তাইতো। আপনি এই পাঁচ শ টাকা নিয়ে কি করবেন? তার থেকে বরং মন্দিরে দান করলে আপনার পুণ্য লাভ হবে।

বুড়ি বলল - পাপ পূণ্য বা  লাভের কথা বুঝি না, ও গুলকে গঙ্গার জলে ডুবিয়ে দিয়েছি। শরীরটা রয়েছে, কবে যে যাবো কে জানে।

কমলেশ হাত পেতে বলে -'দাও দেখিনি টাকাটা। আমার আবার দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাড়ি গিয়ে সন্ধ্যা আহ্নিক করতে হবে। 

বুড়ি এগিয়ে এসে টাকাটা দিয়ে দেয়। তারপর বলে - দুপুরবেলায় মাঝে মাঝে একটু প্রসাদ দিও বাবা। পাপ পুণ্যের হিসেব আমি করে করব টা কি? দুটো পেটে পরলেই হবে। তা বাবা আমি প্রতিদিন তো আসি না। মাঝেমধ্যে আসি তোমাদের মন্দিরে দুটোর প্রসাদ খাবার জন্য।

কমলেশ বলে - সে তুমি এসো, প্রসাদ তো সকলের জন্যই। যখন আসবে তখনই পাবে।

কথাটা বলে, পাঁচশ টা টাকা পকেটে ঢুকিয়ে কমলেশ গটগট করে হেঁটে চলে যায়। টাকাটা কমলেসের খুব দরকার ছিল। সারা রাস্তা ভাবতে ভাবতে এসেছে। তার কাছে টাকা নেই। পরেরদিন সংসার চালানোর মতন সামান্য টাকাটুকু তার কাছে ছিল না। রাস্তায় হঠাৎ বুড়ির দেওয়া টাকা টা  পেয়ে সে যেন স্বর্গ খুঁজে পেল। ভাবল ঈশ্বরের কৃপা। সেই ভেবে সে বাড়ির পথে পা বাড়ালো।



বুড়ি সেই দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তারপর আপন মনে বিড়বিড় করতে করতে ঘনায়মান সন্ধ্যার মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। কোথায় যে যায় তা কেউ জানিনা। মাঝেমধ্যে এই বুড়ি টাকে পাড়ার লোকে মন্দিরে সামনে এসে বসে থাকতে দেখে। মাঝে মাঝে দুপুর বেলা মন্দিরে যে ভোগ রান্না হয় সেই ভোগের প্রসাদ খেতে আসে। বুড়ি ঠিক জেনে গেছে কবে কবে ভোগ রান্না হয়। মন্দিরের একটা কোনায় চুপ করে বসে থাকে।তারপর সবাই যখন ভোগ নিয়ে চলে যায় তখন একটু একটু করে এগিয়ে যায়। যে ছেলেটা ভোগ বিতরণ করে সে একটা থালায় করে বেশ কিছুটা ভোগ বুড়িটাকে দেয়। বুড়ি তখন সেই থালাটা নিয়ে সামনে বটগাছটা তলায় গিয়ে বসে। তৃপ্তি করে দুটো খেয়ে সামনের যে কল আছে সেখান থেকে জল খায় তারপর ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে কোথায় যে চলে যায় কেউ আর খোঁজ রাখে না।

এমনি করে দিন কাটে। দুদিন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে, চারিদিকে জল। বুড়িটা আসতে পারল না কটা দিন। মায়ের মন্দিরে পুজো হয় প্রসাদ হয় সকলেই আসে কিন্তু আসে না শুধু বুড়িটা। প্রথম কটা দিন চোখ পরলো না কমলেশের। কিন্তু দুদিন পর কমলেশ বুঝতে পারল যে বুড়িটা আসছে না। আসবে কি করে চারিদিকে এত জল যে আসার উপায় নেই।  মন্দিরের সামনে বট গাছের তলাটা পর্যন্ত ডুবে গেছে জলে। লোকজন কেউ মন্দিরে আসতে পারছে না। বুড়িটা আসবে কি করে? তার থেকেও বড় কথা এই দুদিনের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে সে আদেও বেচেঁ  আছে কিনা সেটাও কেউ জানে না। বুড়িটা কোথায় থাকে সে সম্পর্কে খোঁজ করার প্রয়োজন কারণ হয়নি। প্রয়োজন হয়নি বলেই হয়তো কেউ খোঁজ করেনি। কিন্তু জীবনে অনেক সময় আসে যখন অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তি কে প্রয়োজন বলে মনে হয়। লোকজন খুব কম আসে, দিনে একজন বা দুজন। এরই মধ্যে হঠাৎ মন্দিরে চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে যায় বিগ্রহের গহনা। এই নিয়ে বেশ হইচই হয়। আশেপাশের পাড়ার লোকজন প্রচুর ভিড় হয় সেখানে। এত জাগ্রত মায়ের মন্দির থেকে কি করে গয়না চুরি হয়ে গেল? বলাবলি  করছিল সকলে। তাহলে কি মায়ের মহিমা কমে গেল? মা কি রক্ষা করতে পারল না নিজের জিনিস? আজ মন্দিরের চাতাল থেকে জলটা সরে গেছে। এত ভিড় দেখে বুড়িটা বট গাছের শিকড়ের উপর বসলো। হঠাৎ অনেকদিন পর দেখা মিলল বুড়িটার। গাছের শিকড়ের উপর বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে সকলের চোখ মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কি যেন দেখছিল সে। আজ তার খিদে থাকলেও খাবার তাড়া নেই কারণ মন্দিরে ভোগ রান্না হয়নি। মন্দিরের বারান্দায় বসে ছিল কমলেশ। ঠিক তার পাশে বসে ছিল যে ছেলেটা প্রসাদ বিতরণ করে সে। মায়ের মূর্তিটা কেমন বিবর্ণ লাগছিল আজকে। একটু একটু করে ভিড় পাতলা হতে শুরু করে। পুলিশ আসে সমস্ত রিপোর্ট লিখে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু দু-একজন তখনো ছিল। তাদের মধ্যে থেকে একজন দেখলো সেই বুড়িটাকে। ছুটে গেল তার কাছে।

 তারপর বলল -:আরে বুড়িমা কোথায় ছিলে এতদিন? 

বুড়ি উত্তর দেয় -'কোথায় আর থাকবো বাবা ছিলাম তো এই খানে। জলের জন্য আসতে পারিনি।  খিদে পেয়েছে। মন্দিরে তো কিছু রান্না হয়নি। তাই চুপ করে বসে আছি। 

পাশ থেকে একজন বলে ওঠে -  রান্না হবে কি করে বুড়িমা? মায়ের গয়না তো চুরি হয়ে গেছে!

বুড়ি খুব নির্লিপ্ত ভাবে উত্তর দেয় -  সবই তো শুনছি বাবা। কি আর  বলবো।  যার কপালে সেই খায়। যখন বিপদ ঘনায় তখন বুদ্ধি বিনাশ হয়ে যায় গো। 

একজন বলে ওঠে - তার মানে তুমি কি বলতে চাইছো বুড়িমা? 

বুড়ি আবার বলে -  কি আর বলবো। যে করছে কাজটা ভালো করে নি। ভুল যে সে করছে সেটা সে বুঝবে তাড়াতাড়ি। তখন তো অন্য কেউ শুনবে না।ব 

একজন বলল - তাহলে বুড়িমা তুমি কি সব জানো? কে চুরি করেছে তুমি জানো? 

বুড়ি হাসতে হাসতে বলে -  দূর আমি কি করে জানবো। আমি কি আর এখানে থাকি? 

অপরজন বলল -  বুড়ি তুমি কোথায় থাকো? তোমাকে দেখিনা। শুধু পুজোর প্রসাদ খেতেই আসো। তারপর কোথায় হারিয়ে যাও তুমি?

বুড়ি উত্তর দেয়- আমি কোথায় থাকবো বাবা।‌‌ যে যখন ডাকে তার বাড়িতে যাই, না হইলে মন্দিরে বা  গাছতলায় থাকি।

কথাটা শেষ করে বুড়ি হাটতে থাকে। লোকগুলো বুড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে। বুড়ি টা  আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে চলে যায়। তার হাঁটার মধ্যে কোন তাড়াহুড়ি ছিল না।

পরেরদিনও মন্দিরে ভিড় ছিল। পুলিশ এসেছে। বহু মানুষের ভিড়। বড় বড় দুটো তালা ভাঙা। কিন্তু ভাঙলো কি করে। মন্দিরের পিছন দিকের দরজা দিয়ে চোর ঢুকে ছিল। তালা দুটো পিছন দিকে দরজার। পুলিশ খতিয়ে দেখছে চারিদিক। 

মন্দিরে পুজো হচ্ছিল প্রতিদিনের মতো। ঠিক প্রসাদ বিতরণের সময় দেখা গেল বুড়ি এসে বসে আছে বটগাছটার নিচে। কে যেন একজন দেখতে পেয়েছিল তাকে। বুড়ির কাপড়টা ছিড়ে গেছে অনেক দিন আগে। সেটা দেখেছিল গ্রামের নিবারণ। নিবারণ ঠিক করে রেখেছিল সে বুড়িকে একটা নতুন কাপড় দেবে। বুড়িকে দেখে নিবারণ ছুটে যায় বাড়ির দিকে। তারপর বাড়ি থেকে নতুন কাপড় টা নিয়ে বুড়িকে দেয়। বুড়ি প্রসাদ আর নতুন কাপড় নিয়ে আবার বটতলা টার কাছে গিয়ে বসে। তারপর একটু আড়ালে গিয়ে সে ওই নতুন কাপড় টা পরে আসে। নিবারণের কাছে গিয়ে বলে -  দেখতো বাবা নিবারণ ঠিক হয়েছে তো।

নিবারণ চমকে যায়। বুড়ির মুখে তার নাম শুনে। এই বুড়ি কি করে তার নাম জানলো। নিবারণ কিছুক্ষণ বুড়ির দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর বলে -  বুড়িমা খুব ভালো লাগছে তোমায়।

বুড়ি খুশি হয়ে আবার ফিরে যায় বটতলার দিকে। সেখানে বসে বসে লোক জন  দেখে আর মিট মিট করে হাসতে থাকে।

পুলিশ তদন্ত করে চলে যায়। জায়গাটা আবার ফাঁকা হয়ে যায়? বুড়ি যে কোথায় যায় কেউ জানে না। কোন এক  দূরে চলে যায় তার নিজের জায়গায়। পরের দিন সকালে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। সেদিন মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও তিথি অনুযায়ী প্রতি বছর এই তিথিতে মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মন্দিরের সামনে হই হই লেগে গেল আবার। মন্দিরের লোহার গেট বড় তালা দিয়ে বন্ধ করা। অথচ মায়ের গায়ে প্রচুর অলংকার। যে অলংকার গুলো চুরি হয়ে গিয়েছিল সেই অলংকার গুলো আবার মায়ের গায়ে। আর নিবারণ যে শাড়িটি কাল বুড়িটাকে দিয়েছিল। সেই শাড়িটি মায়ের গায়ে পরা। সবাই অবাক হয়ে গেল। কারণ নিবারণ যখন বুড়িটাকে শাড়ি দিচ্ছিল তখন সবাই দেখেছিল শাড়িটা। বুড়ি ভক্ষণ শাড়ি পরে এসে ছিল সেটাও দেখেছিল সবাই।  আর সেই শাড়িটাই মায়ের গায়ে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেল। দু একজন ডাকতে গেল নিবারণকে। নিবারণ তখন কাজে গিয়েছিল। কেউ খুঁজতে গেল কুড়িটাকে জঙ্গলের দিকে। মন্দিরের পুরোহিত কমলেশ খবর পেয়ে যখন এলো তখন সে অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল মায়ের দিকে। মায়ের মূর্তির গায়ে জড়ানো রয়েছে নিবারণের দেওয়া শাড়িটা। যে শাড়িটা কাল পরেছিল বুড়ি মা। তাহলে বুড়িমার শাড়ি কি করে এলো এই মা কালীর গায়ে। এত গহনা এলো কি করে মায়ের গায়ে। কমলেশ ছুটে গেল তার বাড়ির দিকে। তার ঘরে গিয়ে দেখল তার লোহার সিন্দুকটা খোলা। যে সিন্দুকের মধ্যে কমলেশ মায়ের গয়না গুলো চুরি করে নিয়ে রেখেছিল। তারপর দৌড়ে দৌড়ে আবার ফিরে এলো মন্দিরে। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে নিবারণও ছুটে এসেছে। নিবারণ মায়ের পায়ে দিয়ে পড়ল। 

কমলেশ অনমায়ের পায়ে গিয়ে পড়ল। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে কমলেশ। তারপর সবাইকে বলে - তোমরা আমাকে পুলিশে দাও। আমি মায়ের গয়না চুরি করেছিলাম। আমি লোভ করেছিলাম। তাই আমি মাকে দেখতে পাইনি, মাকে বুঝতে পারিনি। কিন্তু নিবারণ মহা পূর্ণ করেছিল। তাই নিবারণের দেওয়া শাড়ি মা নিজেই পরেছে। সবাই বুড়িটাকে খুঁজতে লাগলো। চারিদিকে কোথাও খুঁজে পেল না তাকে। তখন সকলেই এক বাক্যে  মেনে নিল যে মা বুড়ি রূপে আসলে তাদের দেখা দিয়ে গেছে। ধন্য হয়েছে নিবারণ।  তার দেয়া শাড়ি গ্রহণ করেছে মা।  শুধু তাই নয় নিবারণের সঙ্গে কথা বলে গেছে। গাঁয়ের লোক আশ্চর্য হয়ে গেল এই ঘটনায়। মা সত্যিই এখানে বিরাজমান। পাড়ার বয়স্করা জ্ঞানী ব্যক্তিরা কমলেশকে ক্ষমা করে দিল। কারণ সে স্বীকার করেছিল সব। মা নিজে কমলেশের ঘর থেকে গয়না নিয়ে নিজেই  সেজেছে। হয়তো তাই সবাই কমলেশ কে ক্ষমা করে দিয়েছিল। ধন্য ধন্য পড়ে গেল চারিদিকে।  সবাই নিবারণের কথা বলছিল। সত্যিই সে একজন সৎ মানুষ । তাই বুড়ি মা তার শাড়ি পরে মন্দিরে বিরাজ মান।বুড়িমা এই মন্দিরে আজও বিরাজমান । সেই থেকে এই কালী মন্দিরের নাম হয়ে গেল বুড়িমার কালী মন্দির। আর মা কালি পূজিত   হতে লাগলেন বুড়িমা নামে।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ